লিউকেমিয়া এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সার। একে অস্থিমজ্জার ক্যান্সারও বলা যেতে পারে। সাধারণত শ্বেত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক সংখ্যাবৃদ্ধির কারণেই এই ধরনের ক্যান্সার হয়। এই শ্বেত রক্তকণিকাগুলি অপরিণত ও অকার্যকর। আমরা জানি রক্ত অস্থিমজ্জার মধ্যেই তৈরী হয়। এদের সংখ্যাধিক্যের ফলে প্রয়োজনীয় রক্তকণিকা তৈরী হতে পারে না।শ্বেত রক্ত কণিকা কম থাকলেও কিছু ধরনের ক্যান্সার হতে পারে, সুতরাং সংখ্যা দিয়ে নয়, রক্তকণিকার অস্বাভাবিকতার ফলেই এই রোগ হয়। লিউকেমিয়া চার রকমের হতে পারে
কেমোথেরাপি,তেজস্ক্রিয় থেরাপি,অস্থিমজ্জা স্থানান্তর ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কিছু লিউকেমিয়া সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। লিউকেমিয়ার ধরন এবং আক্রান্ত ব্যক্তির বয়সের উপর চিকিৎসার সাফল্য নির্ভর করে। যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ বছর বেঁচে থাকা রোগীর গড় ৫৭%। লিউকেমিয়ার ধরনের উপর ১৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের বেঁচে থাকার গড় ৬০-৮৫% এর বেশি। যে সকল অ্যাকিউট লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি পাঁচ বছরের পর ক্যান্সার মুক্ত হয়েছেন,তাদের পুনরায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা নেই।
লিউকেমিয়া(Leukemia)
উপসর্গ এবং চিকিৎসা
-
ক্লান্তিবোধ, দুর্বলতা, ঘন ঘন জ্বর,
-
ওজন কমে যাওয়া,
-
রাত ঘাম,
-
ঘন ঘন ইনফেকশন,
-
পিঠে অসহ্য যন্ত্রনা,
-
কখনো কখনো অস্বাভাবিক রক্তপাত,
-
বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমে যাওয়া বা কালসিটে
বিভিন্ন রকমের রক্ত পরীক্ষা, বোন ম্যারো বায়পসি করা হয়। তাছাড়া এক্সে, এম.আর.আই, সি.টি স্ক্যান, পেট স্ক্যান করা হয়। ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা হিসাবে কেমো থেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, টারগেটেড থেরাপি, অস্তি মজ্জার প্রতিস্থাপনের উল্লখ করা যায়।