হিমোফিলিয়া (Hemophilia)
রক্তের মধ্যে বহু রকমের প্রোটিন থাকে যা রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে। রক্তে এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনের অভাব ঘটলে এক ধরনের Bleeding disorder হয়, যাকে হিমোফিলিয়া বলে। হিমোফিলিয়া একটি বিরল বংশগত রোগ। এটি এক্স ক্রোমোজমের সঙ্গে যুক্ত। হিমোফিলিয়া বিভন্ন ধরনের হয়। ফ্যক্টার ৮ র অভাবে হিমোফিলিয়া এ, ফ্যক্টার ৯ র অভাবে হিমোফিলিয়া বি, এবং ফ্যক্টার ১১ র অভাবে হিমোফিলিয়া সি হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো আঘাত বা সার্জারি থেকে রক্তক্ষরন হলে সহজে থামতে চায় না। হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের যখন বিভিন্ন জয়েন্ট থেকে রক্তপাত হয় তখন তাকে বলে হিমার্থোসিস আর যখন মাংসপেশী (muscles) থেকে রক্তপাত হয় তখন তাকে হেমাটোমাস বলে।
উপসর্গ এবং চিকিৎসা
হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের
-
হাটু, কনুই, গোড়ালি প্রভৃতি জয়েন্ট রক্তপাত হতে পারে, ফলে জয়েন্ট এ যন্ত্রনা এবং ফুলে যেতে পারে।
-
মাড়ি , নাক থেকে রক্তক্ষরন হলে সহজে বন্ধ হয় না
-
প্রসাব এবং পায়খানা থেকে রক্তক্ষরন হয়
-
চামড়া থেকে রক্তক্ষরন যাকে কালসিটে বলে (bruising)
আমরা জানি হিমোফিলিয়া রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টার গুলোর অভাবে হয়ে থাকে, চিকিৎসা হিসাবে সেই
ফ্যাক্টার গুলোকেই ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে দেওয়া হয়।
অত্যাধুনিক চিকিৎসা হিসাবে জিন থেরাপি এই রোগে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
ভাবতে হবে
ভারতবর্ষে হিমোফিলিয়ার তথ্য সঠিক ভাবে পাওয়া যায় না, কারন হিসাবে পরিকাঠামোর অভাব, সচেতনতার অভাবের কথা উল্লেখ করা যায়। ভারতে হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১লক্ষ ৩০ হাজারের মতো।৫০০০ এ ১ জন পুরুষ হিমোফিলিয়া এ, ৩০,০০০ এ ১ জন পুরুষ হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত।