top of page

সিকেল সেল রোগ (Sickle Cell Disease)

সিকেল সেল রোগ এক ধরনের বংশগত রোগ। এটি জিনের ত্রুটির কারণে ঘটে থাকে। লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে যে হিমোগ্লোবিন থাকে তার গঠনগত পরিবর্তন থেকেই এই সমস্যার জন্ম। লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে যে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন থাকে সেগুলি মসৃন, গোলাকৃতি, এবং flexible তাই সহজেই শিরা উপশিরা দিয়ে বয়ে যেতে পারে। কিন্তু সিকেল সেল হিমোগ্লোবিন গুলি শক্ত এবং চ্যাটচ্যেটে (sticky)। সহজে শিরা উপশিরা দিয়ে বয়ে যেতে পারে না। আর অক্সিজেনের অভাবে এরা কাস্তে বা সিকেলের রূপ নেয়। এই কাস্তে আকৃতির হিমোগ্লোবিন শরীরে রক্ত পরিবহনে বাধার সৃষ্টি করে। ফলস্বরূপ নানা রকম উপসর্গ যেমন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা, অ্যানিমিয়া, জনডিস, কিডনি সমস্যা, স্ট্রোক ইত্যাদি দেখা দেয়। আর  একটা কথা জেনে নি, লোহিত রক্ত কণিকার সেল গুলির আয়ু ১২০ দিন, কিন্তু সিকেল সেলের আয়ু মাত্র ১০ থেকে ২০ দিন।

উপসর্গ এবং চিকিৎসা

সিকেল সেল রোগের ক্ষেত্রে নানারকম উপসর্গ দেখা দেয়

  • স্বাস্থ্যকর লহিত রক্ত কণিকার অভাবে মাথা ঘোরা, শ্বাস কষ্ট, ক্লান্তি বোধ দেখা দেয়।

  • বাচ্চাদের সঠিক বৃদ্ধির সমস্যা হয়।

  • শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ করে প্রচন্ড যন্ত্রনা হয়।

  • হাত ও পায়ের আঙুল ফুলে যায় এবং ঘা দেখা দেয়।

  •  ঘন ঘন ইনফেকশন হয়।

  • চামড়া, চোখ এবং মুখ হলুদ হয়ে যায়।

  • শরীরে রক্ত পরিবহনে বাধার ফলে হার্ট, কিডনি, লাঙ এবং অন্যান্য অরগান ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলস্বরূপ স্ট্রোক, লাঙ সমস্যা, গলব্লাডারে সমস্যার সম্ভাবনা থাকে

 

সিকেল সেল রোগের আধুনিক চিকিৎসা হিসাবে জিন থেরাপির কথা বলা হয় । 

ভাবতে হবে

ভারতের মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, ওড়িশা, এবং গুজরাটের আদিবাসী অঞ্চলে সিকেল সেল রোগের প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক। এই রোগ নির্মূল করার জন্য ভারত সরকার National Sickle Cell Anaemia Elimination Mission ২০২৩ সালে চালু করে। উদ্দেশ্য মহৎ, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতটা বাস্তবায়িত হবে, সেটা দেখার.....  

Get Social

  • Facebook
  • Grey Twitter Icon
  • Grey LinkedIn Icon
  • Grey YouTube Icon
bottom of page