top of page

 রক্তাল্পতা (Anemia)

উন্নয়নশীল দেশ বলুন বা উন্নত দেশ, রক্তাল্পতা (Anenmia) সারা বিশ্বের একটি মারাত্মক সমস্যা। আমরা জানি, শরীরে রক্ত কম থাকলে রক্তাল্পতা হয়। কিন্তু কত কম? WHO (World Health Organization) র সংঙ্গা অনুযায়ী 

  • ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুদের ১১ (গ্রাম/ডেসিলিটার) কম হিমোগ্লোবিন থাকলে রক্তাল্পতা বলা হবে।

  • গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রেও ১১ (গ্রাম/ডেসিলিটার) কম হিমোগ্লোবিন থাকলে রক্তাল্পতা বলা হবে।

  • গর্ভবতী নয় মহিলাদের(১৫-৪৯ বছর) ক্ষেত্রে ১২(গ্রাম/ডেসিলিটার) কম হিমোগ্লোবিন থাকলে রক্তাল্পতা ধরা হবে।

  • পুরুষদের(১৫-৪৯ বছর) ক্ষেত্রে ১৩ (গ্রাম/ডেসিলিটার) কম হিমোগ্লোবিন থাকলে রক্তাল্পতা ধরা হবে।

 

রক্তাল্পতা বিভিন্ন কারনে হতে পারে

  • পুষ্টির অভাব (Nutritional deficiency)

  • দীর্ঘস্থায়ী রোগ (Chronic disease)

  • বংশগত রোগ (Genetic disorder)

  • অস্থি মজ্জার সমস্যা (Bone marrow problem)

  • অতিরিক্ত রক্তক্ষরন (Blood loss)

 

পুষ্টির অভাব জনিত রক্তাল্পতার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল লোহার অভাব (Iron deficiency)। তাছাড়াও ভিটামিন বি ১২ এবং ফলিক অ্যাসিডের কথা উল্লেখ করা যায় (Vitamin Deficiency Anemia) 

দীর্ঘস্থায়ী রোগের মধ্যে কিডনি সমস্যা এবং ক্যানসারের কথা বলা যায়।

বংশগত রোগের মধ্যে সিকেল সেল রোগ এবং থ্যালাসেমিয়ার উল্লেখ করা যায়।​

অস্থি মজ্জার সমস্যা থেকে অ্যাপ্লাস্টিক রক্তাল্পতা হতে পারে। তাছাড়া ব্লাড ক্যান্সার যেমন লিম্ফোমা, লিউকেমিয়া হতে পারে।

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরন অথবা আলসারের(Ulcers) ফলে মলদ্বার দিয়ে অধিক রক্তক্ষরনের ফলে রক্তাল্পতা হয়।   

         (এটি খুবই বিরল রোগ)

 

চিকিৎসা

  • ব্যক্তি দুর্বল এবং ক্লান্তি বোধ করে।

  • শারীরিক এবং মানসিক পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট হয়।

  • সহজেই বিরক্ত বোধ করে।

  • মনোযোগিতার ঘাটতি হয়।

  • অনিদ্রার আশঙ্কা থাকে।

রোগী কি ধরনের রক্তাল্পতায় আক্রান্ত তার উপর চিকিৎসা নির্ভর করে। তবে প্রাথমিক ভাবে সম্পূর্ন রক্ত পরীক্ষা (Complete Blood Count) করা হয়। এতে লহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, হিমোগ্লোবিন এবং অণুচক্রিকার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। 

ভাবতে হবে

রক্তাল্পতা ঠেকানোর জন্য প্রচুর পরিমানে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরী। খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে প্রচুর পরিমানে আয়রন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ শাক-সব্জি, ফল, পনীর, দই, দুধ, মাছ-মাংস আর ডাল জাতীয় খাবার।

 

কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা যে দেশে বাস করি সেখানে গড়ে প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ দ্রারিদ্র সীমার নীচে বসবাব করে। তারা কি উপরের খাদ্র তালিকার কিছুমাত্র খাবার জোগার করতে সক্ষম…..

Get Social

  • Facebook
  • Grey Twitter Icon
  • Grey LinkedIn Icon
  • Grey YouTube Icon
bottom of page